আপনি কি আমি সাইফুল ইসলামের মত যৌন সমস্যায় ভুগছেন ? ওহ সরি আমার তো যৌন ভালো হয়েছে গেছে। যারা যৌন সমস্যায় ভুগছেন, তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে ইনশা আল্লাহ ভালো একটি সমাধান পাবেন। কারণ, আমি নিজেও এক সময় এই রোগের রোগী ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়েগেছি এবং ১৫ মিনিটের বেশি সময় পায়। আগে আমার মাত্র ৩০ সেকেন্ডে পড়ে যেতো।
এই পোস্টে আমি আমার সকল অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো যে, আমার এই যৌন সমস্যা কিভাবে হয়েছিল, কতদিন এই সমস্যায় ভুগেছি এবং কিভাবে আমি এই যৌন রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি তা সম্পর্কে বিস্তারটি আলোচনা করবো। কারণ, আমি চাই না যে, কেউ আমার মত এই সমস্যায় পড়ুক এবং এতো ভোগান্তি যেন কারো না পোহাতে হয়। চলুন তাহলে শুরু করা যাক…
যেভাবে আমি এই রোগ বাঁধিয়েছিলাম।
আমি ১৫ বছর বয়স থেকে একটি দোকানে কাজ করতাম। আমি আমার উস্তাদের সাথে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেই বাসায় আমি আর আমার উস্তাদ থাকতাম। আমায় মাঝে মাঝে আমার উস্তাদের ফোন চালাতাম। একদিন আমার উস্টদের ফোনের গ্যালারিতে ঢুকে দেখি ইংলিশ ভিডিও। আমি সেদিন ভিডিও গুলো দেখে অনেক মজা পায়।
সেই থেকে আমার এই ভিডিওর প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করে। সেই দিন থেকে আমি প্রতিদিন আমার উস্তাদ ঘুমালে তার ফোন নিয়ে ভিডিও দেখতাম। একদিন রাতে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। গভীর রাতে হঠাৎ টের পে যে কেউ আমার পেন্ট ধরে টানছে। আমি কিছু না বলে চোখ বুঝে থাকি। এক সমস্যা অনুভব করি যে, আমার উস্তাত আমার বাঁশের উপর বসে সেই ভিডিওর মত কাজ করছে।
এটা আমার খুবই ভালো লাগে। সেই থেকে প্রতিরাতে আমার উস্তাদ আমার সাথে এই এমন কাজ করতো। পরে যখন আমি চাকরি ছেড়ে চোলে আসি, তখন আমি প্রতিদিন অন্তত ১ বার নিজের হাত দিয়ে এই কাজ করতাম। এভাবে প্রায় টানা ৭,৮ বছর প্রতিনিয়ত কাজ চালিয়ে গেছি। আমার এখন আমার শরীরে হাড় ছাড়া কিছু নেই। এইভাবে আমি এই রোগ বাঁধিয়েছি ছিলাম।
আমার কি কি সমস্যা দেখা দিয়েছিলো।
প্রতিদিন অন্তত ১ বার নিজের হাত দিয়ে টানা ৭,৮ বছর এই কাজ করার পর যখন বুঝতে পারি যে, আমি যে কাজ গুলো করে আসছি এর জন্য আমাকে সারাজীবন পস্তাতে হবে। তখন আমি ভালো হয়ে যায়। কিন্তু লাভ হয় নি, এর মধ্যেই আমি যৌন রোগের রুগী হয়েগেছি। আমার যে সমস্যা দেখা দেয় তাহলোঃ-
স্বপ্নদোষ: আমি যেদিন থেকে এই কাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেদিন থেকে কোন কারণ ছাড়াই আমার প্রতি রাতে স্বপ্নদোষ হলো। এমনও রাত গেছে আমরা ২বার স্বপ্নদোষ হয়েছে। এটা বছরের ৩৬৫ রাতের ৩৬৫ রাতই স্বপ্নদোষ হতো।
লিঙ্গ শক্ত হত না: হাত দিয়ে ২,৩ মিনিট নাড়াচাড়া করার পর ১ মিনিটের জন্য আমার লিঙ্গ শক্ত হট এবং আবার ১ মিনিট পরে নরম হয়ে শুয়ে পড়তো। আর একটু ওই ধরণের চিন্তা বা মেয়েদের দিকে তাকালেই লিঙ্গ দিয়ে পিছলা পানি বেরিয়ে যেত।
আগামোটা গোড়া চিকন: আমি এতো পরিমান কাজ করেছি যে, আমার লিঙ্গ এর আগামোটা গোড়া চিকন হয়েগেছি এবং লিঙ্গ দিনে দিনে অনেক ছোট হয়ে যাচ্ছিলো।
দ্রুত বীর্যপাত: আমার অবস্থাস এমন খারাপ হয়েছিলো যে, মিলন তো দূরের কথা লিঙ্গে ক্যাপ দিলেই বীর্য বেরিয়ে যেত। আর এভারেজে দেখা গেছে যে মাত্র ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মাথায় আমার পানি বেরিয়ে যেত।
এই সমস্যার কারণে আমি তো বিয়ের নাম মাথা থেকে মিছে ফেলেছিলাম। কিন্তু আল্লাহ ম্যাপ করায় বেচেগেছি। সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন।
কোন ডাক্তার বা কি ওষুধ খেয়েছি ?
অরে ভাই আর বইলেন না। অনলাইন বা অফলাইনে যতো যৌন রোগের ডাক্তার বা ওষুধ আছে। তার বেশির ভাগই ভুয়া। সালারা না জেনে, না মাঝে উল্টা পাল্টা ওষুধ দিয়ে দেয় আর দাম নেয় আকাশ ছোয়া। ওষুধে কোন কাজই করে না। যত দিন এষুধ খাই, ততদিন ভালো থাকি। আবার ওষুধ বন্ধ করলে আগে থেকেও বেশি খারাপ অবস্থা হয়ে যায়।
এই ধরণের ডাক্তার, ওষুধের পিছে দোড়াইয়া অনেক টাকা পয়সা শেষ করেছি। পরে ভাবছিলাম মনে হয় আমার এই রোগ আর ভালো হবে না। পরে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে একেবারে হতাশায় ভুগতে থাকি। আমি ভাবছিলাম আমার জীবন শেষ।
আমি কি ওষুধ খেয়ে ভালো হয়েছি ?
যখন আমি ডাক্তারের মাধ্যমেও কোন ফলাফল পাচ্ছিলাম না। তখন ভাবলাম যে জীবন তো শেষ হয়েগেছি এখন দেখি আমি নিজে একটা শেষ চিকিৎসা করে দেখি। তখন আমি অনলাইনে বিভিন্ন হোমিও ওষুধের উপকারিতা সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করতে শুরু করি। একটা কথা বলে রাখি যে, “আমি আগে থেকে অনেক ওষুধ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতাম এবং ডাক্তারি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা ছিলো”
আমি আমার রোগ ভালো করার জন্য অনেক ধরণের হোমিও ও গাছগাছালির ওষুধ খেয়েছি। নিচে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:-
স্বপ্নদোষ রোগ: স্বপ্নদোষ রোগ ভালো করার জন্য আমি Selenium 3x নামের একটি হোমিও প্যাথিক ওষুধ ২ ফাইল খেয়েছিলাম। ২ ফাইন প্রায় ২ মাস গেছিলো। প্রতিদিন ৩ টি করে বড়ি ২ বেলা খাবারের পরে খেতাম। এটার ১ ফাইলের দাম কত নিচ্ছিলো তা সঠিক মনে নেই। তবে ৪০০ বা ৪৫০ টাকার মত হবে।
দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ: স্বপ্নদোষ রোগ ভালো হওয়ার পর আমি দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করার ওষুধ খাই। জিনসিং নামের একটি গাছ আছে, ইটা কোরিয়াতে পাওয়া যায়। আমি ৩০০০ টাকা দিয়ে সাদা জিনসিং ও লাল জিনসিং গাছের মূলের পাউডার কিনে আনছিলাম খুলনা থেকে। এটা প্রায় ২ মাসের মত খেয়েছিলাম। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস দুধের সাথে ১ চামচ সাদা জিনসিং ও রাতে ১ গ্লাস দুধের সাথে ১ চামচ লাল জিনসিং মিক্স করে খেতাম।
লিঙ্গ শক্ত ও স্ট্রং: দ্রুত বীর্যপাত ও স্বপ্নদোষ দুইটায় ভালো হয়েছিল ৪ মাসের মধ্যে। কিন্তু লিঙ্গ শক্ত হতো না। অনেক সময় লাগতো। এই জন্য আমি উনিসন কোম্পানির একটি উনানী সিরাপ আছে যার নাম “জিনসিং Q” এটার দাম ১৫০ টাকা। এই সিরাপ কিনে এতে প্রায় ২ মাস খেয়েছিলাম। প্রতিদিন ৩বেলা খাওয়ার পর পানির সাথে ৫ ফোটা করে খেয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ আমি ৬ মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ সুস্থ হয়েগেছি। এতো টাকা পয়সা নষ্ট না করে আগেই যদি এই কাজ গুলো করতাম। তাহলে হয়তো আরো আগেই ভালো হয়েযেতাম।
আপনার জন্য আমার কিছু উপদেশ
- আমি যে ভুল গুলো করেছি, আপনি যদি এই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে না পারেন। তাহলে আপনার জীবনের সব থেকে বড় ব্যার্থতা এটা।
- আপনার যদি ছেলে মেয়ে থাকে। তাহলে লজ্জা না পেয়ে তাদেরকে এই বিষয় গুলো শিক্ষা দিবেন। যাতে তারা এই ধরনের ভুল পথে পা না বাড়ায়।
- জীবনে কোন দিন আমার মত অবৈধ মেলামেশা করবেন না।
- আর মনের ভুলেও কোদিন হস্তমৈথুন করবেন না। তাহলে আপনার জীবন শেষ হয়ে যাবে।
- আর হ্যাঁ, আমি যে ওষুধ গুলো খেয়ে ভালো হয়েছি আপনিও পাকনামি করে সেই ওষুধ নিজে নিজে কিনে খেতে যাইয়েন না। আমার ক্ষেত্রে কাজ করেছে বলে আপনারও যে কাজ করবে এমনটা না। তাই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান।
ভালো লাগলে অবশ্য শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ
ডিসক্লেইমের: সাইফুল ইসলাম এর সাথে আমার হাসপাতালে দেখা হয়েছিলো। তার সাথে কথা বলে আমি মনে করেছি যে, এই তথ্যটা অমানুষের সাথে শেয়ার করা উচিত। কারণ, ইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় বিষয় যা প্রত্যেকটা পুরুষ মানুষের জানা উচিত। তাই আমি শিক্ষাকত পারপাজে লেখাটি আমার ওয়েবসাইটে শেয়ার করলাম।